মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৫

বিগ - ব্যাং থিউরি এবং কোরআন

BIG-BANG Theory  & AL-QURAN

অনেক দিন আগে বিগ ব্যাজ্ঞ থিউরি নিয়ে কথা
বলেছিলাম।মাঝখানে বলেছিলাম যে কোরআন এও
এই সম্পর্কে বলা আছে। যাই হোক আজকে বিগব্যাজ্ঞ ও কোরআন এর একটি আয়াত নিয়ে কথা বলব।

"" কাফেরা কি দেখে না যে, আকাশ ও পৃথিবী ছিল
একত্রে সংলগ্ন ( একটি টুকরার মত) অত:পর আমি উভয়কে পৃথক করলাম ""
                          ---- (সূরা আম্বিয়া, ২১:৩০)

এই আয়াতে মহান আল্লাহ তায়লা এমন একটি রহস্যের বর্ণনা দিয়েছেন যা বহু শতাব্দী ধতে প্রকৃতি
বিজ্ঞানী ও মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা ছিল।
পবিত্র কোরআন মাজীদে মহান আল্লাহতায়লা
মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্যকে ব্যক্ত করেছেন দুটি বিশেষ
শব্দ এর মাধ্যমে  "ফাতাক" ও "রাতাক"।
আরবী ভাষায় যার একটির অর্থ কোন কিছু বিভাজন
বা ভাজ্ঞনের প্রক্রিয়া আরেকটি এর অর্থ হলো
একটি সমজাতিয় ক্ষেত্রে কিছু পদার্থকে একত্রে বাধা
ও গ্রথিত করা।
যাহোক আয়াতে বলা হয়েছে মহাকাশ ও দুনিয়া
একত্রে ছিল পরে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে।

মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণা বিশেষত
মহাকাশ সৃষ্টির বর্তমানে  সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য Big -Bang থিউরি কোরআন এর এই আয়াত সমর্থন করে।
এই তত্ত্ব অনুসারে মহাবিশ্ব একসময় পিন্ড আকারে
একক ইউনিটরুপে কেন্দ্রীভূত ছিল। প্রায় ১৫ বিলিয়ন বছর পূর্বে একটি বিস্ফারণ হয়, যখন
১০-৩২ সেকেন্ডের ভিতরে এর আকার ১০ বা ৩০
গুন বা তার চেয়েও বেশী গুন প্রসারিত হয়।
এই আকস্মিক মহাবিস্ফোরণ এর ফলে বস্তু ও শক্তির অতি ঘন পিন্ডটি টুকরা টুকরা হয়ে ছড়িয়ে
পড়ে, যা ভিন্ন ভিন্ন গতিতে ভিন্ন ভিন্ন দিকে ঘুরতে
থাকে। এভবেই মহাকাশ বা মহাবিশ্ব এর সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞান এটি কিছুদিন আগে প্রমাণ করতে পারলেও
কোরআন তা ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছে।

যাই হোক সবশেষে একটি কথা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি
বা ০ থেকে সবকিছু হয়েছে যারা এইসব চিন্তা করেন
তাদেরকে একথায় পাগল বলা ছাড়া অন্য কোন উপযুক্ত শব্দ আমি এই মুহূর্তে আমার শব্দকোষে খুজে পাচ্ছি না।  সাবধান হয়ে যান।
সবাইকেই সেই মহানের কাছে ফিরে যেতে হবে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন