প্রথমেই বলি স্টিফেন হকিং আমার চেয়ে
অনেক অনেক বেশী মেধাবী , এ যুগের সবচেয়ে প্রতিভাবান। আমি যা বলব তা সম্পূর্ণ আমার মতামত। যদি ভালো লাগে গ্রহণ করবেন আর
যদি ভালো না লাগে ইগনর করে যাবেন।
শুন্য (০) আসলে কিছুই না। শুন্য বলতে আসলে
কি বুঝি? কোন জায়গায়তে বা কোন কিছুতে
যদি কোনরকম উপাদান, সংখ্যা বা পরিমাণ ইত্যাদি ইত্যাদি যদি কিছুই না থাকে তাহলে তার মান ০।
তারমানে বুঝাই যাচ্ছে ০ মানে ০ ই।
তাহলে আমরা এই সামান্য সংখ্যাকে নিয়ে কেন এতো মাতামাতি করি?
আসলে ০ এর ব্যাবহার ব্যাবিলিয়নে হলেও তারা
একে আলাদা সংখ্যা হিসেবে মর্যাদা দিতে পারেন
নাই। পরে আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশ থেকেই
এই ০ কে আলাদা সংখ্যা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। যাই হোক, এটা নিয়ে মাতামাতি এর কারণ একটাই - নাস্তিকরা মনে করেন এই শুন্যে থেকেই
সব কিছুরই জম্ন বা সৃষ্টি।
যে যতই ০X ইনফিনিটি বা এর চাইতেও আধুনিক
বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিক না কেন আমি বলব
০ এর সাথে পুরা দুনিয়া কে গুন করলে তার মান
০ ই হবে।
যাই হোক ০ X ইনফিনিটি এর একটা কথা আছে।
পুরা দুনিয়ার সব কিছু তো আর একত্রে গণণা করা সম্ভব নয় তাই আমরা একে ইনফিনিটি বা অসীম
বলতেই পারি। ০ দিয়ে কোন বাস্তব সংখ্যা কে গুন করলে সেটা ০ হয়ে যায়। কিন্তু ∞(ইনফিনিটি) কোন বাস্তব সংখ্যা না। এটি extended real
numbers line এর একটি অংশ তাই, ∞ কে ০ দিয়ে গুন করলে কি হবে সেটা আমরা বলতে পারি না..তাইতো...
আচ্ছা এইবার আসেন সহজে ব্যাখ্যা দেওয়ার
চেষ্টা করি। (1*2) মানে আসলে কী? 1 কে 2 বার কাউন্ট করে যোগ করা (=2) বা 2 কে 1 বার কাউন্ট করে যোগ করা (=2). এটাই গুণের মূলনীতি।
এইবার দেখেন, (1*0) মানে কী? বলা যায়, 0 কে 1 বার কাউন্ট করে যোগ করা (=0) অথবা 1 কে 0 বার কাউন্ট করে যোগ করা। 0 বার কাউন্ট করা
মানে কী? আমি সংখ্যাটাকে কাউন্ট-ই করি নাই! অর্থাৎ যোগফল নাই, কাজেই যোগফল 0। এবার
তাহলে আসি (0*∞) তে। এর মানে কী? 0 কে ∞ সংখ্যক বার, অর্থাৎ অসীমবার কাউন্ট করে যোগ করা। তা ভাই 0 কে যতবার-ই যোগ করেন
না কেন, যোগফল 0-ই হবে, ∞ হবে না। :)
অন্যভাবে ভাবেন, ∞ হলো out of reach সংখ্যাগুলার প্রকাশক একটা সাইন, এটা নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা না। তথাপি ∞ এর অন্তর্ভূক্ত ∞ সংখ্যক সংখ্যার (যেকোনো out of reach
সংখ্যার জন্য এটা সত্য) 0 বার কাউন্ট করে যোগ করা। আরে ভাই, ০ বার কাউন্ট করা মানে কি? মানে কাউন্টই করলাম না, যোগফল আসবে কোত্থেকে?! কাজেই ফলাফল আণ্ডা! আই মিন 0. .অর্থাৎ 0 এর সাথে 2, 2 কোটি, ∞, হাতি- ঘোড়া যাই গুণ করা হোক না কেন, ইকুয়ালস টু 0।
অনেকে বলবেন Limit ছাড়া ইনফিনিটি কে প্রকাশ করাই যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাই লিমিট কিছুই
না এই লিমিট সৃষ্টিই হয়েছিল অনেক সত্য ডাকার জন্য। উপরের যুক্তি দেখুন অবশ্যই প্রমাণ পাবেন
০X ইনফিনিটি, হতি, ঘোড়া ছাগল যাই বলুন না কেন তার মান ০ ই হবে। আপনি যদি বলেন
ইনফিনিট হলো অসংগায়ীত। তাহলে ওই অসংগায়ীত কেও যদি ০ বার কাউন্ট করে যোগ
করেন তার মান ০ ই হবে।
আমার কথা , আমরা জানি শুন্য থেকে কিছুই সৃষ্টি হওয়া অলৌকিক । হকিং তার Quantum Fluctuation তত্ত্বে কিভাবে শুন্য থেকে একটি বস্তুকণা
তৈরি হয় তা বুঝিয়ে দিয়েছেন । তবে সবচেয়ে হাস্যকর ব্যপারটা হলো তিনি এই তত্ত্বে বলেছেন
“বস্তুকণা একেবারে শুণ্য থেকে নয় বরং আপাত শুণ্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে ।” এখানে আপাত মানে
একেবারে শুণ্য নয় , কিছু না কিছু আছে । তাহলে কি আছে ওখানে ?আর ওটা এলই বা কি করে ? কে
সৃষ্টি করেছে এটা ? এটাই কি ঈশ্বর ?
.
আচ্ছা এখন আসুন ধরি ওখানে কিছুই ছিলনা । যদি একবারেই শুন্য থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয় তবে এটা
অলৌকিক । এখন যদি তা অলৌকিকই
হয় তবে এটা সাধারণ বিজ্ঞানকে সাপোর্ট না করেই কাজ করতে পারে । তাই অবশ্যই এটি কারও
দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে । আর তিনি কে ? তিনি কি ঈশ্বর ?
.
.ধরলাম এটা অলৌকিক নয় তাহলে একটা বস্তু থেকেই পরিবর্তিত হয়ে প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে .{স্টিফেন হকিংয়ের মতানুযায়ী} । সমাজ
বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন তার বিবর্তনবাদ নামক এক ধোকাবাজী দিয়ে আমাদের বিভ্রান্তের
মাঝে ফেলে দিয়েছে । সেইখানে উল্লেখ আছে যে মানব সমাজ এসেছে সকলের পর । আমরা
জানি প্রাণের মূল হলো এমাইনো এসিড , যা এখন ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হচ্ছে । বহুকাল আগে
নাকি নিম্ন পর্যায়ের ক্ষুদ্র জৈব যৌগের মাঝে বিক্রিয়ার ফলে প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে । এতে
নাকি মহান আল্লাহর হাত নেই {নাউজুবিল্লাহ} । তাই যদি হয়ে তবে জৈব যৌগ থেকে প্রত্যেক
প্রাণীর পুং ও স্ত্রী জাত কিভাবে সৃষ্টি হলো ? ঝড়ে বক পড়ে এটা সবাই জানি তাই বলে সব
ঢিলেই বক পড়বে এটা বিশ্বাস করা আর মোরগের ডিম খাওয়ার স্বপ্ন দেখা একই ব্যাপার । সুতরাং
বিবর্তনবাদে প্রাণ সৃষ্টি হয়নিতবে আল্লাহ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।
তাহলে অবশই সৃষ্টিকর্তা আছেন .আবার বিগ ব্যাং এ বলা হয়েছে এক বিন্দু থেকে সকল কিছু
বিস্ফোরিত হয়ে দুরে সরে গেছে । ধরলাম তার কথা সত্যি {বাস্তবেও বিগ ব্যাং সত্যি । পবিত্র কুরআনে
এর ইঙ্গিত আছে । তবে সেখানে উল্লেখ করা আছে যে আল্লাহ সয়ং তা সম্পন্ন করেছেন} । তাহলে শুন্য বস্তু থেকে কি করে কিছু বিস্ফোরিত হয় ? যদি মাঠে কোন ফসল না থাকে তবে ছাগলে ফসল
খাওয়ার কথাই আসেনা ।তাই অবশ্যই সেই বিন্দুতে কিছু বস্তু থাকতে সবে । শুধু তাই নয় উত্স বিন্দুতে
বিস্ফোরক কিছু থাকতে হবে কারণ বিস্ফোরণের জন্য বিস্ফোরক।থাকাটা জরুরী ।
যদি তাই হয় তবে ঐ উত্স বস্তু এবং ঐ বিস্ফোরক এলো কোথা থেকে ? নাকি স্টিফেন হকিং এবার
বলবেন যে ঐ বস্তুটাও নিজেই একবার বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে ।
.
ঐ বস্তু সৃষ্টিতে নিশ্চয় একজন স্রষ্টার হাত রয়েছে ।
তিনি ই কি ঈশ্বর ?
হকিং তার বইয়ের শেষে একটা
বাক্য লিখেছেন । বাক্যটি এরুপ:
‘WHEN I CAN KNOW ALL ABOUT THE CREATIONS ,
I WILL BE ABLE TO UNDERSTAND ABOUT THE MIND OF GOD
‘.
“যখন সৃষ্টির বিষয়ে আমি সবকিছু
জানতে পারব তখনই আমি ঈশ্বরের মন
বুঝতে সক্ষম হবো”।
কথাটিতে একটু প্যাঁচ রেখেছেন তিনি । এটা নিয়ে সকলের একটু মতভেদ আছে । তবে আসল কথাটা
হলো তিনি বলেছেন যে .সৃষ্টির বিষয়ে জানলেই ঈশ্বরের মন বুঝতে পারব । এখানে মন অর্থ ইচ্ছা বা
উদ্দেশ্য । তারমানে হকিং বিশ্বাস করেন যে সৃষ্টিকর্তা
আছেন অথচ তিনি কে এটা খুঁজে পাননি । এটা তার জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয় । আবারও বৈজ্ঞানিক
যুক্তিতে প্রমাণ করলাম যে সৃষ্টিকর্তা আছেন , ছিলেন এবং থাকবেন ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন