Fibonacci’s series এর গোল্ডেন রেশিও দিয়ে
আল্লাহহর অস্তিত্ব প্রমাণ।
আমাদের দেশে বিখ্যাত বিখ্যাত গণিতবিদ আছেন।
যারা আল্লাহকে মানেন না। নিজেদের নাস্তিক বলে
পরিচয় দিতেই ভালো বাসেন। আজকে গণিতের
সবচেয়ে মজার বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এবং
হালকা হলেও চেষ্টা করব এটা বুঝাতে যে, আল্লাহ
আছেন,যিনি এই দু জাহানের মালিক। ০ নাম্বার টি
আমাদের উপমহাদেশেরই সৃষ্টি। আমরা জানি ০
এর সাথে যদি পুরা দুনিয়া গুন করি তাহলে তার
মান ০ ই হবে। এরমানে কি দাড়ায়, ০ থেকে কিছুই
হয় না। যাই হোক ০ আজকে আমার আলোচনার
বিষয় না, আজকে কথা বলল গণিতের সবচেয়ে মজার বিষয় নিয়ে-
চলেন শুরু করা যাক,
1, 1, 2, 3, 5, 8, 13, 21, 34, 55, 89 …
চেনা চেনা লাগছে? এই শ্রেণীটিকে বলা হয় Fibonacci’s series। লিওনার্দো ফিবোনাচি এই
শ্রেণীটি প্রথম আবিষ্কার করেন। এই শ্রেণীর একটা সংখ্যা পাওয়া যায় তার ঠিক আগের দুটিকে যোগ করে।যেমন, 1 + 1 = 2, 1 + 2 = 3, 3 + 5 = 8, 5 + 8 = 13 ইত্যাদি।
দেখতে এমনিতে সাদামাটা, কিন্তু মজা হচ্ছে কোন সংখ্যাকে তার আগেরটা দিয়ে ভাগ করলে
পাওয়া যাবেঃ
2/1=2.0, 3/2 = 1.5, 5/3=1.67, 8/5=1.6, 13/8=1.625,
21/13=1.615, 34/21=1.619, 55/34=1.618, 89/55=1.618
সংখ্যাদের মান যত বড় হবে, অনুপাত ততই এগিয়ে আসবে নির্দিষ্ট মানে – যেটা হল 1.618 । এই সংখ্যাটাকে বলা হয় Golden Ratio (স্বর্ণঅনুপাত)। এই সংখ্যা আমাদের জীবনে এবং চারপাশের জিনিসের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে আছে যে এটা কে মনে করা হয় ভগবানের সৃষ্টি।
পৃথিবীখ্যাত অনেক গণিতবিদএই মান নিয়ে গবেষণা
করেছেন । তাদের মধ্যে রয়েছেন, পিথাগোরাস,
ইউক্লিড, কেপলার, অক্সফোর্ডের পদার্থবিদ
রোজার পেনরস এবং প্রাচিন গ্রিসের অনেক বিজ্ঞানী । গোল্ডেন রেশিও মানের প্রয়োগিক ব্যবহার সবাইকে মুগ্ধ করেছে । শুধুমাত্র গনিতবিদের
কাছেই নয় এর প্রয়োগিক ব্যবহার রয়েছে জীব-বিজ্ঞান,চিত্রশিল্প, সংগীতজ্ঞ,ইতিহাসবিদ এবং
পদার্থবিদদের কাছে । ধারনা করা হয়, এই মানকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি গবেষণা করাহয়েছে(অন্যান্য যেকোনো মানের চেয়ে) ।
বিশ্বভ্রম্মান্ডের স্রষ্টা তার প্রতিটি সৃষ্টিতে এই মান
ব্যবহার করেছেন । মানুষের হৃদপিণ্ড, দৈহিক গঠন, ফুল, মাছ,গাছপালা, গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদি
সবকিছুই একই মান(১.৬১৮) দ্বারা গঠিত হয়েছে ।
পৃথিবী বিখ্যাত অনেক স্থাপত্য নির্মাণে এই মান ব্যবহৃত হয়েছে এমনকি মিসরের পিরামিড তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়েছে গোল্ডেন রেশিও সংখ্যা ।
সৌন্দর্যতাত্ত্বিক ডাঃ স্টিভেন তার ২৫ বছরের
গবেষনায় প্রমান করেছেন যে,মানুষের মুখমণ্ডলের প্রতিটি অংশ এবং দেহের আকৃতি নির্মাণেও এই মান ব্যবহৃত হয়েছে ।
পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও মক্কায় অবস্থিতঃ
মক্কা থেকে উত্তর মেরু এবং মক্কা থেকে দক্ষিন মেরুর দূরত্বের আনুপাতিক হিসাবকরলে দাড়ায় ১.৬১৮ । যাকে বলা হয় গোল্ডেন রেশিও।
গোল্ডেন রেশিও কনজুগেইটঃ
দ্বিঘাত সহসমীকরণ অনুযায়ী φ এর ঋণাত্মক বর্গমূল হচ্ছে,
-1/ φ = 1- φ = 1-root5 /2 = -0.618033988
সংখ্যার এই পরম মানটি বিপরীত ক্রমে দৈর্ঘ্যের
অনুপাতের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ(ক্ষুদ্র খন্ডিতাংশের উপর বৃহত খন্ডিতাংশের অনুপাত হচ্ছে b/
a) এবং মাঝে মাঝে গোল্ডেন রেশিও কনজুগেইট এর মত নির্দেশিত হয় । এর প্রতীক হচ্ছে বড় হাতের ফাই (Φ) ।
Φ = 1/ φ = 1/1.618033988...... = 0.618033988
Φ কে অন্যভাবে প্রকাশ করলে
দাড়ায়,
φ-1 = 1.681033988...... -1 = 0.618033988.. (সমাধান টি উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া)
মক্কাই হচ্ছে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও পয়েন্টঃ
আমরা সবাই জানি, পৃথিবীর ভৌগলিক সময় নির্ধারণ করা হয় বিষুব রেখা এবং দাগ্রিমা
রেখাকে ভিক্তি করে । এবং কো-অরডিনেট পদ্ধতিতে ভৌগলিক উপাদানের যে বিন্দু নির্দেশিত হয় সেখানেও বিষুব রেখা এবং দাগ্রিমা রেখাকে ভিক্তি ধরা হয় । কো-অরডিনেট পদ্ধতিতে পুর্ব
দাগ্রিমাংশ +৩৯.৮২ এবং উত্ত অক্ষাংশ +২১.৪২ । যা প্রমান করে পৃথিবীর গোল্ডেনরেশিও হচ্ছে পবিত্র কাবা । ৯০+৩৯.৮২ = ১১১.৪২সুতরাং ১১১.৮২ / ১৮০= 0.৬১… এবং ১৮০+৩৯.৮২ = ২১৯.৮২ সুতরাং ২১৯.৮২/৩৬০ = ০.৬১….
অতএব, গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট Φ এর মান অনুযায়ী মক্কা এবং কাবাই হচ্ছে পৃথিবীর
গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট ।পবিত্র নগরী মক্কার নাম সমগ্র কুরআনে মাত্র একবার উল্লেখিত
হয়েছে সুরা আল-ই-ইমরান এর ছিয়ানব্বই আয়াতে । এই আয়াতে মক্কা শব্দটি উচ্চারিত
হওয়া পর্যন্ত বর্ণ সংখ্যা হচ্ছে ২৯ টি এবং সমগ্র আয়াতে রয়েছে ৪৭ টি বর্ণ । এখন আমরা যদি উক্ত আয়াতটি লিখে ফাইমেট্রিক্স (ফাইমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের সফটওয়্যার যা ধারা কোন ছবির
গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট মাপা হয়) ধারা পরিমাপ করি তাহলে এর মান আসবে, ২৯/৪৭ =০.৬১…. আর এটাই হচ্ছে গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট Φ এর মান ।এই পৃথিবী, পবিত্র নগরী, পবিত্র
গ্রন্থ সবকিছু একই নিয়মের মাঝে গঠিত হয়েছে । সুতরাং আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি
যে, সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা একজন এবং তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ ।
যদি কোন সৃষ্টিকর্তা না থাকত এবং প্রতিটা সৃষ্টি যদি তার নিজের মত করে চালিত হত তাহলে সবার মান সমান হওয়া কখনো সম্ভব হত না ।
ধন্যবাদ সবাইকে
ভালো থাকবেন আজকে এই পর্যন্তই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন