মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০১৫

আপনি কি কখনও শুনেছেন গণিতের সংখ্যা কথা বলে? তাও আবার আপনার মাতৃভাষা বাংলায়। শুনেন নি, তাই না?

আপনি কি কখনও শুনেছেন গণিতের সংখ্যা কথা বলে? তাও আবার আপনার মাতৃভাষা বাংলায়। শুনেন নি, তাই না? আর হয়ত বলবেন আজব,
এটা কি বলে? না, আজ আপনার সাথে এই সংখ্যাই বলবে, আর প্রমাণ করে দিবে আমরাও
বাংলায় কথা বলতে
পারি১/১১=০.০৯০৯০৯০৯… । তাহলে ১ দিয়ে ১১ কে ভাগ দিলে আমারা উত্তরটি পেলাম
০.০৯০৯০৯০৯…। এখন আপনি এই অংককে জিজ্ঞাস করেন যে, “১১ দিয়ে ১ কে ভাগ করলে উত্তর কি শূর্ণ হয়?”। অংক কি বলে দেখেন,
০.০৯০৯০৯০৯…। একটি দ্রুত ও কল্পনা দিয়ে পড়ে দেখেন, এই রকম হয় কি? “শূর্ণ দশমিক শূর্ণ নয় শূর্ণ নয় শূর্ণ নয় শূর্ণ নয় শূর্ণ নয় শূর্ণ নয়। তার
মানে হল, উত্তর শূর্ণ হয় না।

২/১১=০.১৮১৮১৮১৮… । একটু মন দিয়ে শুনুন
তো অংক কি বলে। এটি বলতেছে কি? শূন্য দশমিক এক আট এক আট এক আট এক আট…। এই কথাকে একটু মজা ও দ্রুত করে বলেন
দেখি। এই ভাবে, দশমিকএকাট্যাকাট্যাকাট্যাকাট্যাকা
ট্যাকা ট্যাকা….। কি বুঝলেন অংক আপনাকে বলছে, সে আপনার কাছে টাকা পাবে আর
সেই টাকা দিতে।

সতীন চিনেন তো? ৩০৩ আর কি!!
একটু ১১*৩০৩ গুণ করুন, কত হয়? ১১২৩।
এবার ১১২৩*৩৩৩৩=কত? বলতে পারবেন? ক্যারকুলেটর দিয়ে অংক করে বলতে পারবেন।
উত্তরটা হলঃ ৩৩৬৯ ৩৩৬৯ ৩৩৬৯।
উত্তরটা তো পেলেন। এবার আপনার অংককে জিজ্ঞাস করেন যে, ৩ আর ৩ মিলে কত হয়? তার
আগে আপনিই বলুন কত? ৬, তাই না?
হ্যাঁ, কিন্তু দেখূন এই অংক কি বলে! সে বলে যে ৩ আর ৩ নাকি ৬ নয়। কিভাবে? উত্তরটা একটু লক্ষ্য
করুন আর দেখুন, ৩৩৬৯ ৩৩৬৯ ৩৩৬৯।
দেখুন অংক বলতেছে, “তিন তিন ছয় নয়”। মানে তিন আর তিন ছয় না। তবে কত? :p

মজার শেষ পর্যায় চলে এসেছি। শেষ করার আগে আরেকটু মজা করি। ১১২৯/৯৯৯৯=০.১১২৯১১২৯১১২৯।
লক্ষ্য করুন, উত্তরটার আর অংককে
প্রশ্ন করে, “আচ্ছা তোমার ভিতরে ৫ কয়বার আছে?” সে কি
উত্তর দেয় দেখুন, ১১২৯ ১১২৯ ১১২৯।
মানে হল, এক বারো নয়, এক বারো নয়। হা……হা…..হা………
এখন আপনিই বলুন, অংকটি তাহলে কথা বলে? কি মনে হয়? আপনার মনে
হওয়াটা একটু জানান।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ..
আল্লাহ হাফেজ
….. :D :D

Fibonacci’s series এর গোল্ডেন রেশিও দিয়ে আল্লাহহর অস্তিত্ব প্রমাণ।

Fibonacci’s series এর গোল্ডেন রেশিও দিয়ে
আল্লাহহর অস্তিত্ব প্রমাণ।

আমাদের দেশে বিখ্যাত বিখ্যাত গণিতবিদ আছেন।
যারা আল্লাহকে মানেন না। নিজেদের নাস্তিক বলে
পরিচয় দিতেই ভালো বাসেন। আজকে গণিতের
সবচেয়ে মজার বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এবং
হালকা হলেও চেষ্টা করব এটা বুঝাতে যে, আল্লাহ
আছেন,যিনি এই দু জাহানের মালিক। ০ নাম্বার টি
আমাদের উপমহাদেশেরই সৃষ্টি।  আমরা জানি ০
এর সাথে যদি পুরা দুনিয়া গুন করি তাহলে তার
মান ০ ই হবে। এরমানে কি দাড়ায়,  ০ থেকে কিছুই
হয় না। যাই হোক ০ আজকে আমার আলোচনার
বিষয় না, আজকে কথা বলল গণিতের সবচেয়ে মজার বিষয় নিয়ে-
চলেন শুরু করা যাক,

1, 1, 2, 3, 5, 8, 13, 21, 34, 55, 89 …
চেনা চেনা লাগছে? এই শ্রেণীটিকে বলা হয় Fibonacci’s series। লিওনার্দো ফিবোনাচি এই
শ্রেণীটি প্রথম আবিষ্কার করেন। এই শ্রেণীর একটা সংখ্যা পাওয়া যায় তার ঠিক আগের দুটিকে যোগ করে।যেমন, 1 + 1 = 2, 1 + 2 = 3, 3 + 5 = 8, 5 + 8 = 13 ইত্যাদি।
দেখতে এমনিতে সাদামাটা, কিন্তু মজা হচ্ছে কোন সংখ্যাকে তার আগেরটা দিয়ে ভাগ করলে
পাওয়া যাবেঃ
2/1=2.0, 3/2 = 1.5, 5/3=1.67, 8/5=1.6, 13/8=1.625,
21/13=1.615, 34/21=1.619, 55/34=1.618, 89/55=1.618
সংখ্যাদের মান যত বড় হবে, অনুপাত ততই এগিয়ে আসবে নির্দিষ্ট মানে – যেটা হল 1.618 । এই সংখ্যাটাকে বলা হয় Golden Ratio (স্বর্ণঅনুপাত)। এই সংখ্যা আমাদের জীবনে এবং চারপাশের জিনিসের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে আছে যে এটা কে মনে করা হয় ভগবানের সৃষ্টি।

পৃথিবীখ্যাত অনেক গণিতবিদএই মান নিয়ে গবেষণা
করেছেন । তাদের মধ্যে রয়েছেন, পিথাগোরাস,
ইউক্লিড, কেপলার, অক্সফোর্ডের পদার্থবিদ
রোজার পেনরস এবং প্রাচিন গ্রিসের অনেক বিজ্ঞানী । গোল্ডেন রেশিও মানের প্রয়োগিক ব্যবহার সবাইকে মুগ্ধ করেছে । শুধুমাত্র গনিতবিদের
কাছেই নয় এর প্রয়োগিক ব্যবহার রয়েছে জীব-বিজ্ঞান,চিত্রশিল্প, সংগীতজ্ঞ,ইতিহাসবিদ এবং
পদার্থবিদদের কাছে । ধারনা করা হয়, এই মানকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি গবেষণা করাহয়েছে(অন্যান্য যেকোনো মানের চেয়ে) ।

বিশ্বভ্রম্মান্ডের স্রষ্টা তার প্রতিটি সৃষ্টিতে এই মান
ব্যবহার করেছেন । মানুষের হৃদপিণ্ড, দৈহিক গঠন, ফুল, মাছ,গাছপালা, গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদি
সবকিছুই একই মান(১.৬১৮) দ্বারা গঠিত হয়েছে ।
পৃথিবী বিখ্যাত অনেক স্থাপত্য নির্মাণে এই মান ব্যবহৃত হয়েছে এমনকি মিসরের পিরামিড তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়েছে গোল্ডেন রেশিও সংখ্যা ।
সৌন্দর্যতাত্ত্বিক ডাঃ স্টিভেন তার ২৫ বছরের
গবেষনায় প্রমান করেছেন যে,মানুষের মুখমণ্ডলের প্রতিটি অংশ এবং দেহের আকৃতি নির্মাণেও এই মান ব্যবহৃত হয়েছে ।

পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও মক্কায় অবস্থিতঃ
মক্কা থেকে উত্তর মেরু এবং মক্কা থেকে দক্ষিন মেরুর দূরত্বের আনুপাতিক হিসাবকরলে দাড়ায় ১.৬১৮ । যাকে বলা হয় গোল্ডেন রেশিও।

গোল্ডেন রেশিও কনজুগেইটঃ
দ্বিঘাত সহসমীকরণ অনুযায়ী φ  এর ঋণাত্মক বর্গমূল হচ্ছে,

-1/ φ = 1- φ = 1-root5 /2 = -0.618033988

সংখ্যার এই পরম মানটি বিপরীত ক্রমে দৈর্ঘ্যের
অনুপাতের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ(ক্ষুদ্র খন্ডিতাংশের উপর বৃহত খন্ডিতাংশের অনুপাত হচ্ছে b/
a) এবং মাঝে মাঝে গোল্ডেন রেশিও কনজুগেইট এর মত নির্দেশিত হয় । এর প্রতীক হচ্ছে বড় হাতের ফাই (Φ) ।

Φ = 1/ φ = 1/1.618033988......  = 0.618033988

Φ কে অন্যভাবে প্রকাশ করলে
দাড়ায়,

φ-1 = 1.681033988...... -1 = 0.618033988.. (সমাধান টি উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া)

মক্কাই হচ্ছে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও পয়েন্টঃ
আমরা সবাই জানি, পৃথিবীর ভৌগলিক সময় নির্ধারণ করা হয় বিষুব রেখা এবং দাগ্রিমা
রেখাকে ভিক্তি করে । এবং কো-অরডিনেট পদ্ধতিতে ভৌগলিক উপাদানের যে বিন্দু নির্দেশিত হয় সেখানেও বিষুব রেখা এবং দাগ্রিমা রেখাকে ভিক্তি ধরা হয় । কো-অরডিনেট পদ্ধতিতে পুর্ব
দাগ্রিমাংশ +৩৯.৮২ এবং উত্ত অক্ষাংশ +২১.৪২  । যা প্রমান করে পৃথিবীর গোল্ডেনরেশিও হচ্ছে পবিত্র কাবা । ৯০+৩৯.৮২ = ১১১.৪২সুতরাং ১১১.৮২ / ১৮০= 0.৬১… এবং ১৮০+৩৯.৮২ = ২১৯.৮২ সুতরাং ২১৯.৮২/৩৬০ = ০.৬১….
অতএব, গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট Φ এর মান অনুযায়ী মক্কা এবং কাবাই হচ্ছে পৃথিবীর
গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট ।পবিত্র নগরী মক্কার নাম সমগ্র কুরআনে মাত্র একবার উল্লেখিত
হয়েছে সুরা আল-ই-ইমরান এর ছিয়ানব্বই আয়াতে । এই আয়াতে মক্কা শব্দটি উচ্চারিত
হওয়া পর্যন্ত বর্ণ সংখ্যা হচ্ছে ২৯ টি এবং সমগ্র আয়াতে রয়েছে ৪৭ টি বর্ণ । এখন আমরা যদি উক্ত আয়াতটি লিখে ফাইমেট্রিক্স (ফাইমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের সফটওয়্যার যা ধারা কোন ছবির
গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট মাপা হয়) ধারা পরিমাপ করি তাহলে এর মান আসবে, ২৯/৪৭ =০.৬১…. আর এটাই হচ্ছে গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট Φ এর মান ।এই পৃথিবী, পবিত্র নগরী, পবিত্র
গ্রন্থ সবকিছু একই নিয়মের মাঝে গঠিত হয়েছে । সুতরাং আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি
যে, সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা একজন এবং তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ ।
যদি কোন সৃষ্টিকর্তা না থাকত এবং প্রতিটা সৃষ্টি যদি তার নিজের মত করে চালিত হত তাহলে সবার মান সমান হওয়া কখনো সম্ভব হত না ।

ধন্যবাদ সবাইকে
ভালো থাকবেন আজকে এই পর্যন্তই।

বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০১৫

হ্যাকিং নিয়ে তিনটি বাংলা বই

এবার টিউন করতে যাচ্ছি
হ্যাকিং নিয়ে। প্রথমেই
বলে রাখি বইগুলো আমার
তৈরী করা নয়। তাই এর
কোন দায়-দায়িত্ব আমি
বহন করতে পারব না।
তাইলে বইগুলোতে যাওয়া
যাক.......।।
Hacking Bangla Ebook

Hackology1.0_By_p1n1x_Cr3w

Bangla Hacking Tutorial

সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০১৫

নিউরনে অনুরণ - গণিত বইয়ের রাজা


নিউরনে অনুরণন
▬▬▬▬▬▬ஜ ۩۞۩ ஜ▬▬▬▬▬▬
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা
পৃথিবীর সেরা। কিন্তু আমি যখন
দেখি তাদের সৃজনশীলতাকে
পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়ে তাদের
ঘাড়ে মোটা মোটা বই চাপিয়ে
দেওয়া হচ্ছে মুখস্থ করার জন্য, তখন
দুঃখে আমার বুকটা ভেঙে যায়।
আমি হয়তো আমার কাছাকাছি দু-
চারজনকে উৎসাহ দিতে পারি,
সাহায্য করতে পারি; কিন্তু
দেশের হাজার হাজার ছেলে-
মেয়েকে সাহায্য করবে কে? তাই
অনেক ভাবনা-চিন্তা করে আমি
আর প্রফেসর কায়কোবাদ একটা
বুদ্ধি বের করেছি। এই বইতে গণিত
বিষয়ক কিছু লেখার পাশাপাশি
মজার মজার দুইশ গাণিতিক সমস্যা
তুলে ধরা হলো। এই অঙ্কগুলোর
কোনো কোনোটা হবে সোজা,
কোনো কোনোটা হবে কঠিন,
কোনো কোনোটা হবে ইতিহাস
বিখ্যাত, কোনো কোনোটা হয়তো
হবে একেবারেই অসাধ্য! এ দেশের
ছেলে-মেয়েরা সেগুলো করতে
গিয়ে চিন্তা করতে শিখবে,
সৃজনশীলতা বাড়বে, কল্পনাশক্তির
বিকাশ হবে। তারা আবিষ্কার
করবে অঙ্ক করা যতটুকু মজার ব্যাপার,
তার থেকে একশ গুণ বেশি মজা
সেই অঙ্কটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা
করা। সেটা করতে গিয়ে
প্রতিনিয়ত তাদের মস্তিষ্কে
নিউরনের অনুরণন হতে থাকবে। তাই
এর নাম দিয়েছি নিউরনে অনুরণন।
-- মুহম্মদ জাফর ইকবাল
সূচি
* কী এবং কেন?
* মেধার বিকাশে
* রামানুজন
* সংখ্যাতত্ত্ব
* লিউনার্দ অয়লার
* পাই কেমন করে পাই
* কার্ল ফ্রেডরিক গাউস
* ধারা
* পল আরডস
* কাল্পনিক (?) সংখ্যা
* পরিশিষ্ট
নিউরনে অনুরণনঃ
ডাউনলোড লিংকঃ

নিউরনে অনুরণন

solidfiles.com যে কোন ফাইলের
অরজিনাল ডাউনলোড লিংক হচ্ছে
ফাইল নামের পাশে হালকা সবুজ
কালারের Priority Download নামক
বাটনের নিচে ...
Regular download link নামে যে লিংক
থাকে সেটাই অরজিনাল
ডাউনলোড লিঙ

সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০১৫

নিয়ে এলাম Kaplan এর কিছু বই

হাজার হাজার টাকার বই এদের মধ্যে অনেকগুলো বাংলাদেশেই পাওয়া যায় না।

কথা না বলে চলুন ডাউনলোড করে ফেলি..

Kaplan GRE Exam Verbal Workbook (Kaplan Gre Verbal
Workbook)

Hyperlearning MCAT Verbal Workbook 2011 Edition

The Graduate Psychometric Test Workbook: Essential
Preparation for Quantitative Reasoning, Data
Interpretation and Verbal Reasoning Tests (Careers &
Testing)

শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০১৫

এখন আপনার Android Phone কথা বলবে বাংলা ভাষায়

সবাই কেমন আছেন?

নিজের ভাষায় যখন মোবাইল কথা বলে তখন
কি ভালোই না লাগে তাই না।
আজকে নিয়ে এলাম Bangla Talking Clock..

এটা আপনাকে ১৫ বা ৩০ মিনিট পর পর জানিয়ে দিবে...  এখন সময় ১২ টা বেজে ১৫
মিনিট
ডাউনলোড করুন এখানে

মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০১৫

Certified Ethical Hacker (CEH) Course

আপিন কি একজন সার্টিফাইড
ইথিক্যাল হ্যাকার হোতে চান ?

হ্যাকিং কি?:-

হ্যাকিং এর
নামটা শুনলে আমরা প্রায় সবাই
ভড়কে যাই। কিন্তু আমাদের
জনি যে হ্যাকিং খারাপ দিক
রয়েছে তেমনি রয়েছে ভালো দিক।
অনেকেই হয়তো জানেন
না যে হ্যাকিংয়ের
মধ্যে রয়েছে তিনটি ভাগ। ভাগ
তিনটি হচ্ছে-
1. ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকিং
2. গ্রে হ্যাট হ্যাকিং ও
3. হোয়াইট হ্যাট হ্যাকিং

ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার:- ব্ল্যাক হ্যাট
হ্যাকার
বা কালো টুপি হ্যাকাররা হচ্ছে উচ্চমানের
প্রোগ্রামার কিন্তু তারা তাদের এ
জ্ঞানের ঝুলি মানুষের ক্ষতি করার
জন্য ব্যবহার করে থাকেন।
তারা অন্যের
কমপিউটারে অনুপ্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য চুরি, অন্যের আকাউন্টের
টাকা ট্রান্সফার, কোনো গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য সম্বলিত নেটওয়ার্কের
সুরক্ষা ভাঙ্গা, ক্রেডিট কার্ড হ্যাক
করা ইত্যাদি বড় ধরণের অপরাধ
করে থাকেন।

গ্রে হ্যাট হ্যাকার:- গ্রে হ্যাট
বা ধূসর টুপি হ্যাকাররাও
ভালোমানের প্রোগ্রামার
তবে তারা সুপ্ত অবস্থায় থাকেন।
তারা তাদের বিদ্যা খারাপ
কাজে বা ভালো কাজে ব্যবহার
করতে পারেন। তবে বেশিরভাগ
ক্ষেত্রে দেখা যায় নিজের
ছোটোখাটো প্রয়োজনের জন্য
তারা বিভিন্ন সফটওয়্যারের
লাইসেন্স হ্যাক, কারো মেইল
অ্যাকাউন্ট হ্যাক, ওয়েবসাইট হ্যাক
ইত্যাদি করে থাকেন। অনেকেই
তাদেরকে হ্যাকারের
পরিবর্তে ক্র্যাকার
বলে ডাকতে বেশি সাচ্ছ্ন্দ বোধ
করেন।

হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার:- হোয়াইট
হ্যাট
বা সাদা টুপি হ্যাকাররা হচ্ছে কালো হ্যাটধারী হ্যাকারদের
যম। তাদের কাজ হচ্ছে ব্ল্যাক হ্যাট
হ্যাকারের বিপরীতে কাজ করা।
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারদের
ইথিক্যাল হ্যাকারও বলা হয়। বড় বড়
প্রতিষ্ঠান যেখানে বেশ
ভালোমানের সুরক্ষার দরকার
পড়ে সেখানে তারা তাদের
নেটওয়ার্ক ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারের
কবল থেকে বাচানোর জন্য নিয়োগ
দেন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার
বা ইথিক্যাল হ্যাকারদের। বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানে সুরক্ষার দায়ভার
পড়ে এসব ইথিক্যাল হ্যাকারদের
হাতে তাই কর্মসংস্থান
বেড়েছে ইথিক্যাল হ্যাকারদের।
একারণে ইদানিং হ্যাকিং এখন
বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অনেকেই
আগ্রহ প্রকাশ করছে হ্যাকিং শেখার
ব্যাপারে।

সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
প্রথমেই বলেনি, হ্যাকিং শুধু মাত্র
শিখে রাখার জন্য। করন,
হ্যাকিং শিখে রাখলে হ্যাকিং থেকে বাঁচতে পারবেন।
এমন অনেকেই আছেন
যারা হ্যাকিং এর নাম
শুনলে অনেকই ভয় পান। আবার অনেকই
আছেন যারা হ্যাকিং শিখতে চান
কিন্তু শিখতে পারছেন না। আর তাই
আপনাদের
কথা চিন্তা করে আপনাদের জন্য
এনেছি CEH এর কোর্স। CEH
এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের
কোর্স। যা আপনাদের জন্য আয়োজন
করছি। CEH এর পরিপূর্ন অর্থ
সার্টিফাইড ইথিক্যাল হ্যাকার।
সার্টিফাইড ইথিক্যাল হ্যাকার(CEH)
বলতে আমরা বুঝি একজন নেটওয়ার্ক
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। একজন
ইথিক্যাল হ্যাকার খুব
সহজে বুঝতে পারেন কোন নিদ্দিষ্ট
সিস্টেমের কোথায় কোথায়
দুর্বলতা রয়েছে। এবং এক জন
বিদ্বেষপূর্ণ হ্যাকার হিসাবে এই
সমস্যার সমাধান করে থাকেন। এই
কোর্স
আপনাকে সহযোগিতা করবে কিভাবে আপনি আপনার
পিসির নিরাপত্তা বিধান করবেন,
কিভাবে হ্যাকিং থেকে বাঁচায়
ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে।
অনলাইনে ইথিক্যাল হ্যাকার কোর্স
এবং এর সুবিধা:
পৃথিবী এখন অনেক ফার্স্ট। সবখানেই
এখন প্রযুক্তির ব্যবহার। কিন্তু
আমারা অনেক
পিছি আছি আমরা খুব কম মানুষই
আছি যারা এর ব্যবহার করে থাকি।
আর সেই সব
কথা চিন্তা করে আমরা শুরু
করেছি নতুন এক
উপায়ে অনলাইনে সরাসরি “সার্টিফাইড
ইথিক্যাল হ্যাকিং” শেখান।
মনে প্রশ্ন আসতে পারে কেন করবেন
অনলাইনে ট্রেনিং কেন ?? কারন-
আপনাকে কষ্ট
করে বাহিরে গিয়ে শিখতে হবে না।
বাসায় বসেই হাতের
নাগালে শিখতে পারবেন
ইথিক্যাল হ্যাকার এর যাবতীয় কিছু।
সাথে থাকছে স্ক্রিং শেয়ারিং যার
মাধ্যমে একদম
হাতে কলমে দেখানো হবে সব
খুঁটিনাটি বিষয়।
অন্যদের চেয়ে খুবই কম
খরচে ইথিক্যাল হ্যাকার কোর্স এর
ব্যবস্থা। কিন্তু আপনি পাবেন ঠিক
তাঁদের মত বা তাঁদের চেয়েও
অনেক বেশি।
হাতের কাছেই পাবেন সকল
রিসোর্স।
কম্পিউটার অন আর নেট কানেকশন
করানো ছাড়া আপনাকে আর কোন
বাড়তি ঝামেলাই
পোহাতে হবে না।
আমি মনে করি যারা মফস্বল
শহরে থাকেন তাঁদের জন্য
এটি হবে একটি অনেক বড় চমৎকার
সুযোগ।
৩ মাস ব্যাপী সার্টিফাইড
ইথিক্যাল হ্যাকার[CEH] এর সকল
বিষয়।
থাকছে প্রশ্ন এবং তৎক্ষণাৎ উত্তরের
বিশেষ ব্যবস্থা।
সরবরাহ করা হবে প্রতিদিনের নোট,
পিডিএফ ফাইল, এমন কি ভিডিও
ফাইল পর্যন্ত।
কোর্স এর শুরুতে আপনার ঠিকানায়
পৌঁছে যাবে সম্পূর্ণ ক্লাশের
ডিভিডি ও সকল রিসোর্স !!
প্রতি সপ্তাহে অনলাইনে ৩ দিন
করে ক্লাশ অনুষ্ঠিত
হবে এবং এসএমএস এর
মাধ্যমে পাবেন ক্লাশ
স্টারটিং এলারট।
অনলাইন টেস্ট এবং এক্সাম এর
ব্যবস্থা।
লাইফ টাইম সাপোর্ট এবং আমাদের
সাথে কাজ করার সুযোগ (শর্ত
প্রযোজ্য)
কোর্স শেষে সবার জন্য
থাকছে সার্টিফিকেট!
এবং সবচেয়ে বেশি নাম্বার
প্রাপ্ত ০৫ জন ট্যালেন্ট এর জন্য
থাকবে আকর্ষণীয় সব উপহার
এবং অফার।
কোর্সে অংশগ্রহণের যোগ্যতা/
পূর্বশর্ত:
এই মুহূর্তে এই “সার্টিফাইড ইথিক্যাল
হ্যাকার” কোর্সটি সবার জন্য উন্মুক্ত
নয়। কেবল মাত্র নিচে প্রদানকৃত
যোগ্যতা সম্পূর্ণ যেকেউ ক্লাশ করার
সুযোগ পাবেনঃ
আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট
সম্পর্কে জানতে হবে
প্রোগ্রামিংয়ের
সম্পর্কে প্রাথমিক
ধারণা থাকতে হবে।
বয়স ১৫-৪০ এর মধ্যে হতে হবে
আপনাকে নুনতম
ইংরেজি জানতে হবে
যাদের
প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধরনা নেই
কিন্তু শেখার আগ্রহ আছে তারাও
অংশগ্রহণ করতে পারেন।
কোর্সে উদ্দেশ্য:
একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার বা দক্ষ
নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ
গড়ে তোলা।
কোর্সে বিবরণ:
মডিউল 01: নৈতিক
হ্যাকিং থেকে ভূমিকা
মডিউল 02:
পা প্রিন্টিং এবং পরিদর্শন
মডিউল 03: স্ক্যান নেটওয়ার্ক
মডিউল 04: শুমার
মডিউল 05: সিস্টেম হ্যাকিং
মডিউল 06: Trojans এবং backdoors
মডিউল 07: ভাইরাস এবং ক্রিমি
মডিউল 08: Snifers
মডিউল 09: সামাজিক প্রকৌশল
মডিউল 10: পরিষেবা অস্বীকার
মডিউল 11: হাইজ্যেক অধিবেশন
মডিউল 12: হ্যাকিং ওয়েব সার্ভার
মডিউল 13: হ্যাকিং ওয়েব
অ্যাপ্লিকেশন
মডিউল 14: এসকিউএল ইনজেকশন
মডিউল 15: হ্যাকিং ওয়্যারলেস
নেটওয়ার্ক
মডিউল 16: এড়ানোর আইডি,
ফায়ারওয়াল, এবং মধু ঘট
মডিউল 17: বাফার ওভারফ্লো
মডিউল 18: সংকেতলিপি রচনার
বিদ্যা
মডিউল 19: অনুপ্রবেশ টেস্টিং
যোগাযোগ করুনঃ
ফোনঃ ০১৭৮১-০৩৪৪০৩
ইমেইলঃ any.time.tutorial.help@gmail.com
যে কোন সমস্যায় থাকছে ২৪/৭ লাইভ
সাপোর্ট এর ব্যাবস্থা।

সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫

CCNA এর বিস্তারিত

CCNA কি?

Cisco Certified Network Associate
যাকে সংক্ষেপে বলা হয় CCNA।
এটি একটি বিশেষ ধরনের
নেটওয়াকিং কোর্স। চাকরির
প্রমোশনে ও জব
এনরিচমেন্টে আইটি সার্টিফিকেশনের
বিকল্প নেই।
যারা নেটওয়াকিং সম্পর্কে জানতে আগ্রহী,
নেটওয়ার্কিং পেশা হিসেবে নিতে চান
তাদের জন্য নেটওয়াকিং শিক্ষার
শুরু হতে পারে CCNA কোর্সটি দিয়ে।
নেটওয়াকিং বিষয়ক যতধরনের কোর্স
বর্তমানে প্রচলিত রয়েছে তার
মধ্যে Cisco Certified Networking
কোর্সগুলো হচ্ছে পূর্বের সকলের
চেয়ে ভাল। এর কোর্স কারিকুলাম
অত্যন্ত আধুনিক ও সময়োপযোগী।
সিসিএনএ টেকনো বিশেষজ্ঞদের
নেটওয়ার্ক স্কিল উন্নয়নে সর্বাধিক
সহায়তা সহ সর্বশেষ প্রযুক্তির
নেটওয়ার্ক জ্ঞান প্রদান করবে। Cisco
Career Certifications এর আওতায়
নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত কোর্সগুলোর
মধ্যে এন্ট্রি লেভেলের কোর্স CCENT
(Cisco Certified Entry Networking
Technician) তারপরই CCNA। CCNA করার
জন্য CCENT করতেই হবে এমন কোন
বাধ্যবাধকতা নেই, তবে CCNP (Cisco
Certified Network Professional) এবং CCIE
করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই CCNA
কমপ্লিট থাকতে হবে। এই কোর্সের
টাইটেল স্পন্সর হচ্ছে আমেরিকার
Cisco Systems, Inc. এটি বিখ্যাত
নেটওয়াকিং ডিভাইস
প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। Cisco এই
কোর্স চালু করেছে তাদের
প্রোডাক্টের পাবলিসিটি এবং দক্ষ
জনবল তৈরী করার জন্য।
বর্তমানে দুই ধরনের CCNA কোর্স চালু
আছে। দুটি কোর্সের ভিউ দুই ধরনের।
সেগুলো হচ্ছে :

# CCNA Discovery
# CCNA Exploration

CCNA Discovery :

Discovery মূলত তাদের জন্য যাদের
কম্পিউটার সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান
আছে কিন্তু
নেটওয়াকিং সম্পর্কে বিশেষ কিছু
জানা নেই। এটি Exploration এর
চাইতে সহজ এবং খুব
বেশী গভীরে না গিয়েও বেসিক
নেটওয়াকিং সম্পর্কে পরিস্কার
ধারনা দিতে পারে। Beginner দের
জন্য এটি সবচাইতে ভাল
নেটওয়ার্কিং কোর্স। CCNA Discovery
এর এক বছর মেয়াদী মোট
৪টি সেমিস্টার রয়েছে।
এগুলো হচ্ছে -
১। Networking for Home and Small
Businesses v4.0
২। Working at a Small-to-Medium Business
or ISP v4.1
৩। Introducing Routing and Switching in the
Enterprise v4.0
৪। Designing and Supporting Computer
Networks v4.0

CCNA Exploration :

CCNA Exploration একটু এ্যাডভান্স
ইউজারদের জন্য। এই কোর্সে ভাল
করার জন্য আপনাকে কম্পিউটার
এবং নেটওয়াকিং সম্পর্কে বেশ ভাল
জ্ঞান থাকতে হবে। সাধারনত
কম্পিউটার
ইঞ্জিনিয়ারিং বা কম্পিউটার
বিষয়ক অন্য কোন গ্রাজুয়েশন
ডিগ্রীধারীরা এই কোর্স
নিয়ে থাকে। তবে অন্যান্যদের
হতাশ হবার কিছু নেই,
চেষ্টা থাকলে অন্যদের পক্ষেও ভাল
করা সম্ভব। CCNA Exploration এরও এক বছর
মেয়াদী মোট ৪টি সেমিস্টার।
এগুলো হচ্ছে -

১। Network Fundamental
২। Routing Protocol and Concept
৩। LAN Switching and Wireless
৪। Accessing the WLAN

CCNA কেন পড়ব?

এরকম প্রশ্ন মনে আশা স্বাভাবিক।
এক্ষেত্রে উত্তরটাও মন থেকেই বের
করতে হবে। ভাবতে হবে আপনার
চাহিদাটা কি। আপনি কি আপনার
ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার
নেটওয়ার্কিং নিয়ে সাজাতে চান?
আপনার জব অপরচুনিটি বাড়ানোর জন্য
কি নেটওয়াকিং জানা প্রয়োজন?
আপনার কি আগ্রহ
আছে নেটওয়াকিং এর প্রতি?
তবে মনে রাখতে হবে যে CCNA কোন
গ্রাজুয়েশন লেভেলের কোর্স
বা তার সমপর্যায়ের নয়। তবে CCNA
Certified দের চাকুরী বাজার আছে।
অনেকে মনে করেন এইসব কোর্স
কম্পিউটার সায়েন্সে গ্রাজুয়েটদের
জন্য। আসলে কম্পিউটার
সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েশন না করেও
কিন্তু নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার
হওয়া সম্ভব। আমাদের
দেশে আইএসপিগুলোতে নেটওয়ার্ক
সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার
এমনকি অনেক ব্যাংকে পর্যন্ত
নেটওয়ার্ক সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার
রয়েছেন যারা কম্পিউটার সায়েন্স
কখনো পড়েননি। কিন্তু বিভিন্ন
আইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
থেকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
বিষয়ে ১ বছর
মেয়াদি ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে জব
মার্কেটে ঢুকে পড়েছে। ১৯৯৩-১৯৯৭
সাল পর্যন্ত যারা এসব
ডিপ্লোমাগুলো করে জব
মার্কেটে ঢুকেছিলেন এমন অনেকেই
আজকে অনেক বড় প্রতিষ্ঠানের
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্ণধার।
অথচ ওনাদের কোন কম্পিউটার
সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েশন নেই,
এমনকি সাধারণ ডিগ্রী পাস
অনেকেও নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার
হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন।
তবে বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠান
ডিপ্লোমা করাচ্ছে তাদের মান
কিছুটা কমে গেছে বললে খারাপ
কিছু বলা হবে না।
অন্যদিকে প্রতিযোগিতা এ
পেশার ক্ষেত্রে অনেক
বেড়ে গেছে এবং কম্পিউটার
সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট করেও
অনেকে নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমাগুলো আবার
করে নিচ্ছে। যদি আপনি কম্পিউটার
সায়েন্সে না পড়ে থাকেন
তবে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার
স্বপ্ন
থেকে থাকে তাহলে আপনাকে স্বাগতম;
কারণ এ পেশায় কম্পিউটার
সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট নয় এমন
ক্যারিয়ারিস্টের সংখ্যা অনেক।
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে দু’তিনটি ইন্টারন্যাশনাল
ভেন্ডর সার্টিফিকেট কম্পিউটার
নেটওয়ার্কিং এর উপর অর্জন
করতে হবে। একই কথা কম্পিউটার
সায়েন্সের বেলায়ও প্রযোজ্য।
কিভাবে শুরু করব?
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
ইঞ্জিনিয়ারিং এ পেশা গড়ার
ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই আপনার ধৈর্য
থাকতে হবে অত্যন্ত দুই বছর এ
বিষয়টি অধ্যয়ন করার। আমার মতামত
হলো প্রথমে আপনি যদি কম্পিউটার
সায়েন্সে না পড়ে থাকেন
তাহলে নীলক্ষেত
থেকে বাংলাভাষায় লিখিত
কম্পিউটার
নেটওয়ার্কিং বিষয়ে একটি বই
কিনে পড়া শুরু করুন।
পাশাপাশি ইংরেজি একটি নেটওয়ার্কিং বই
কিনে নেবেন। আর কম্পিউটার
সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েশন করছেন
যারা তাদের বলছি,
ডেটা কমিউনিকেশন এবং কম্পিউটার
নেটওয়ার্কিং কোর্স দুটি ভাল মত
কমপ্লিট করবেন। যদি দেখেন কোর্স
দুটির বিষয় আপনাকে আকর্ষণ
করেছে এবং ভবিষ্যতে এ
বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার
ইচ্ছা জন্মেছে তাহলে অন্তত
দুটি ইন্টারন্যাশনাল ভেন্ডর
সার্টিফিকেট অর্জন
আপনাকে করতেই হবে। যেমন:
প্রথমে CCNA তারপর CCNP।
CCNA কোর্স কোথায় করব ?
CCNA কোর্সটির পরীক্ষা দিতে হয়
অনলাইনে এবং কোর্স ম্যাটেরিয়াল
সব প্রতিষ্ঠানেই একই।
সুতরাং আপনি CCNA যে কোন
সেন্টার থেকেই করতে পারেন। সব
সেন্টারের সার্টিফিকেট Cisco
থেকে আসবে এবং সবার
সার্টিফিকেট ভ্যালু সমান। শুধু
আপনাকে মনযোগী হতে হবে এবং আগ্রহ
ধরে রাখতে হবে।
তবে ল্যাবে রিসোর্স
বেশী থাকলে কিছু
বাড়তি সুবিধা পাবেন
হাতে কলমে শিখে নেওয়ার।
এছাড়া সিমুলেশন সফটওয়্যার Packet
Tracer যেটি Cisco থেকে দেওয়া হয়
এখানেও
আপনি নেটওয়াকিং প্রাকটিস
করতে পারবেন। সুতরাং আপনি খোজ
করুন সেন্টারটি অবস্থান এবং কোর্স
ফির উপর ভিত্তি করে। CCNA জন্য কোন
ফিক্সড ফিস নাই, যার
কারনে সেন্টার টু সেন্টার এর ফিস
ভিন্ন হতে পারে। আমাদের
দেশে সিসকোর লোকাল এডুকেশন
একাডেমিগুলো হলো- বাংলাদেশ
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়,
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল
ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক
ইউনিভার্সিটি,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।
উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি সমাপ্ত
করে যে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু
এক বছর মেয়াদি এ একাডেমিক
কোর্সে ভর্তি হতে পারবে।
সিসকো কোর্স ক্যারিকুলাম ও এ
বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য
পেতে যোগাযোগ করুন সিসকোর
অফিশিয়াল ওয়েব সাইটে http://
cisco.netacad.net আর একাডেমিক
কোর্স করার পর ভেন্ডর
পরীক্ষা সহজে দিয়ে দেওয়া যায়।
ক্যারিয়ার ক্ষেত্র
কম্পিউটার
নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার
হিসেবে কাজ করার সুযোগ
রয়েছে আইএসপি অর্থাৎ ইন্টারনেট
সার্ভিস প্রোভাইডার
কোম্পানিগুলোতে।
এছাড়া মোবাইল কোম্পানি,
ব্যাংক, এয়ারলাইন, ট্রাভেল
এজেন্সি, শেয়ার মার্কেট,
মাল্টিন্যাশনাল ও ন্যাশনাল
কোম্পানি,
বায়িং হাউজে অর্থাৎ
যেখানে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক আর
ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় সেখানেই
রয়েছে চাকরির সুযোগ।
দিনে দিনে এই চাকরির
বাজারটি বড় হচ্ছে।